ঢাকা, শুক্রবার   ১৪ মার্চ ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

রোজা রাখলে বিচারকদের উদারতা বাড়ে: গবেষণা

প্রকাশিত : ১৫:৫৩, ১৯ মার্চ ২০২৩

Ekushey Television Ltd.

সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, যে বিচারকেরা রোজা রাখেন, তারা রায় দেয়ার সময় একটু বেশি উদার থাকেন৷ যদিও আগের এক সমীক্ষায় জানা গিয়েছিল, ক্ষুধা থাকা অবস্থায় বিচারকেরা একটু কঠোর রায় দেন৷

২০১১ সালের এক গবেষণায় দেখা গিয়েছিল, ইসরায়েলে বিচারকদের অপরাধীদের প্যারোল না দেয়ার সম্ভাবনা দুপুরের খাবারের পরের চেয়ে আগে বেশি৷ গবেষণাটি ‘দ্য হাংগ্রি জাজ এফেক্ট' নামে পরিচিতি পেয়েছিল৷

নতুন গবেষণার প্রধান লেখক রাশিয়ার নিউ ইকোনমিক স্কুলের সুলতান মেহমুদ এএফপিকে বলেন, তিনি রোজার সময় বিচারকরা কী করেন, তা দেখতে আগ্রহী ছিলেন৷

গবেষণার জন্য মেহমুদ এবং আরও দুইজন অর্থনীতির গবেষক ভারত ও পাকিস্তানের গত ৫০ বছরের রায় পর্যালোচনা করেছেন৷ তারা প্রায় পাঁচ লাখ মামলার তথ্য ও প্রায় ১০ হাজার বিচারকের কাজ পর্যালোচনা করেন৷

মেহমুদ বলেন, তারা ‘দ্য হাংগ্রি জাজ এফেক্ট' গবেষণার ফলাফলে উলটোটা দেখে ‘অবাক' হয়েছেন৷ কারণ, গবেষণায় দেখা গেছে, রোজার সময় মুসলিম বিচারকদের কাছ থেকে অপরাধীদের ছাড়া পাওয়ার সংখ্যা অনেক বেড়ে যেত৷ কিন্তু অমুসলিম বিচারকদের ক্ষেত্রে এমনটা হয়নি বলে গবেষণায় পাওয়া গেছে৷

গবেষণাটি ‘নেচার হিউম্যান বিহেভিয়ার'-এ প্রকাশিত হয়েছে৷

মেহমুদ বলেন, মুসলিম বিচারকেরা বছরের অন্য সময়ের তুলনায় রোজার মাসে গড়ে প্রায় ৪০ শতাংশ বেশি মুক্তির রায় দিয়েছেন৷

বিচারকেরা যত বেশি সময় খাবার ও পানি ছাড়া থেকেছেন তত বেশি উদার রায় দিয়েছেন বলেও জানান তিনি৷ প্রতি এক ঘণ্টা বেশি সময় রোজা রাখায় মুক্তি দেয়ার সম্ভাবনা ১০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছিল বলে গবেষণায় জানা গেছে৷

গবেষণার আরেক লেখক ফ্রান্সের এক্স মার্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতিবিদ আভনের সেরর মনে করেন, ইসলাম ধর্মে ক্ষমা করার যে বিষয়টি আছে, সেটি হয়ত রোজার মাসে বিচারকদের মনে রায় দেয়ার সময় প্রভাব ফেলে থাকতে পারে৷

মেহমুদ বলেন, গবেষণার প্রয়োজনে তিনি পাকিস্তানের যত বিচারকের সঙ্গে কথা বলেছেন তারা তাকে জানিয়েছেন, রোজার সময় তারা ‘অনেক বেশি উদার' থাকেন৷

সূত্র: ডয়েচে ভেলে 

এসবি/ 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি